রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস

বার্তা কক্ষ / ৩৯২ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার টাইমস২৪:
কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসটি এখন নিজের অফিস বানিয়েছেন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইউনুছ ভুট্টু। ইতোমধ্যে অফিস থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অফিসের ভেতরে বাইরে শোভা পাচ্ছে ইউনুছ ভুট্টুর নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার। দিনরাত চলছে জমজমাট নির্বাচনী আড্ডা।

মো. ইউনুছ ভুট্টু নিজেই একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও দলীয় চেয়ারম্যান হয়ে কিভাবে জাতির জনক এবং দলীয় প্রধানের ছবি সরালেন, ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষকে। ক্ষোভ দেখালেন দলের সমর্থকরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রায় ৪ বছর আগে চেইন্দা স্টেশনের হাজি আব্দুর রহমান মার্কেটে আওয়ামী লীগের অফিসের জন্য কক্ষ বরাদ্দ দেন মোজাহের আলম। তখন থেকে এটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস হিসেবে পরিচিত। চলতো দলীয় সভা-সমাবেশ। কিন্তু হঠাৎ দলীয় অফিসের চেহারা বদলে গেছে। নেই জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। আওয়ামী লীগের অফিসটি রাতারাতি হয়ে গেলো বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যক্তিগত অফিস। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খোদেসতা বেগম রীনা বলেন, গায়ের জোরে দলীয় অফিসটি নিজের নির্বাচনী অফিস বানিয়েছেন ইউনুছ ভুট্টু। জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি তুলে ফেলে চরম অবমাননা করেছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ৩১ অক্টোবর বেলা দেড়টার দিকে মো. ইউনুছ ভুট্টুকে ফোন করলে কোথায় অফিস? কার অফিস? কি হয়েছে? ইত্যাদি উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়েন। এরপর এর ধরণের কোন ঘটনা জানেন না বলে উত্তর দেন।

বিস্তারিত জানতে চাইলে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যস্ততা দেখিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মো. ইউনুছ ভুট্টু।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, ইউনুছ ভুট্টু নির্বাচনী মাঠে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মারধরে দলীয় নেতাকর্মী ও নৌকার সমর্থকদের আহত করছে। এটি খুবই গর্হিত, নিন্দনীয় কাজ। ধিক্কার জানাচ্ছি। তিনি বলেন, দলীয় অফিস দখল করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের কাজে ব্যবহারের বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।