রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক টিম বন্যাদূর্গত পরিবারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থিক সহায়তা ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য কমিউনিটি রান্নাঘর চালু করে ২৩ হাজার গরম খাবার দিল কোস্ট ফাউন্ডেশন ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ পান বাজার রোডে এশিয়া ফার্মেসি উদ্বোধন বৈষম্যমুক্ত কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও এম আর পি বাস্তবায়ন চান ওষুধ ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দখলবাজদের আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে কক্সবাজারে কোস্টের নারী নেটওয়ার্কিং কমিটির নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ বিশ্ব মানবিক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাবেক সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল দখলের অভিযোগ

মোজাম্মেল পরিবারের আশীর্বাদে যারা নেতা হয়েছেন তারাই বিশ্বাসঘাতকতা করছে

বার্তা কক্ষ / ১৯৭ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগের পদ-পদবী ব্যবহার করে যারা দখল, দুর্নীতিবাজি ও ভূমিদস্যুতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান।
আসন্ন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তৃণমূলের সাথে পরামর্শ করেছি। এপথে এগিয়ে যেতে আপনাদের দোয়া চাই। আশা করি পাশে থাকবেন।
কথাগুলো বলছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স করে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে অনেকেই আমার বাবার ঘনিষ্ট সহযোদ্ধা। বাবার আশীর্বাদে যারা বড় বড় নেতা হয়েছেন তারা আজ আমাদের পরিবারের প্রতি চরম অবহেলা ও অবজ্ঞা করে যাচ্ছেন। একই সাথে রাজনৈতিক সততা ও আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। আমি সেই দুর্নাম ঘোচাতে চাই।
চারিদিকে রাজনীতির নাম দিয়ে নানা অপকর্ম চলছে দাবি করে জুয়েল বলেন, কিছু সুবিধাভোগি নেতার অপকর্ম দলের দুর্নাম ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশাল অর্জনকে ধুলিস্মাৎ করছে। আমি সেই অনিয়ম ভাঙ্গতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের হারানো ঐতিহ্য ফিরাতে আসন্ন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রার্থী হয়েছি।
কক্সবাজারে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে চেয়ারম্যান জুয়েল বলেন, আমার বাবা একেএম মোজাম্মেল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কক্সবাজার পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আমরণ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। আমার বাবা অন্যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন। মোজাম্মেল পরিবারের ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। দলের নেতৃত্বে আসলে আমি মনোনয়ন বাণিজ্য করব না। হোটেল দখল করব না। নেতা কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবো।
কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, এখন অনেকেই দলীয় পদ নিয়ে নানা অপকর্মে জড়িত আছে।
দলের নামে অপকর্মকারীদের জবাব দিতে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীতা ঘোষণা করছি।
ত্যাগের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে জুয়েল আরো বলেন, আমি দলের স্বার্থে রাজনীতি করতে গিয়ে ১/১১ এর সময় গ্রেফতার হয়ে নির্মম শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। দীর্ঘ ৯ মাস জেল খেটেছি তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে বেঈমানী করিনি। অন্যায়ের সাথে
আপোষ করি নি।
৮০’ দশকে পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে জুয়েল বলেন, সে সময়ে আমাদের পরিবারে দৈনিক ইনকাম ছিলেন ৫০০ টাকা। সেখান থেকে পরিবারের জন্য ২০০ টাকা রেখে ৩০০টাকা পার্টির জন্য ব্যয় করতেন বাবা। দলের কঠিন সময়ে বাবা দলকে আঁকড়ে ধরেছিলেন বলেই নেতাকর্মীরা বাবাকে কক্সবাজার আওয়ামীলীগের বটবৃক্ষ হিসাবে আখ্যায়িত করেন। আমি বাবার সততাকে বুকে ধারন করে রাজনীতির মাঠে আছি।
সংবাদ সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কয়সারুল হক জুয়েল জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত আমৃত্যু সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একেএম মোজাম্মেল হকের কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।