নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালীতে অসামাজিক কার্যকলাপে বাধা দেওয়ায় আনোয়ারা আক্তার (২৮) নামক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি ও দুই দফা হামলার অভিযোগ ওঠেছে। এতে রক্তাক্ত জখম হয়েছে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্যবহারের মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুতুবজোম চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম একই এলাকার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় আনোয়ারা বেগম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এতে কুতুবজোম ৪ নং ওয়ার্ড চরপাড়ার হামিদ হোসেন (৩০), চাঁন্দকাটার কবির আহমদ প্রকাশ হইব্যা (৫০), চরপাড়ার জাগির হোসেন (৪০), হামিদা আকতার (২৮) ও আমিনা খাতুন (৫৫)কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয় নি।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারে ভিকটিম আনোয়ারা বেগম উল্লেখ করেন, ফুফাতো ভাই হামিদ হোসেনকে বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেন। সেসুবাদে বসতঘরে মদ-জুয়ার আসর বসানোসহ নানা অপরাধকর্ম করতে থাকে। এসব কারণে বসতঘর ছেড়ে দিতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আনোয়ারা বেগম ও তার পিতা হোসন আলী চরপাড়াস্থ বসতঘরে গিয়ে হামিদ হোসেনকে ঘর ছেড়ে যেতে বলায় হমলা করে। সংঘবদ্ধ চক্রের এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপাঘাতে পিতাসহ তিনি আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আনোয়ারা বেগম জানান, ঘটনার সময় ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও ব্যবহারের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে চিহ্নিত অপরাধীরা। তাতে ক্ষান্ত না হয়ে পরের দিন ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় হামলা করে।
প্রধান অভিযুক্ত হামিদ হোসেনের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহারের দুইটি মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভিকটিম ও এলাকাবাসীর।
Leave a Reply