রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচারের জবাব দিলেন যুবদল নেতা জাবেদ ইকবাল লবণ আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে বিসিক কক্সবাজারে পাঁচদিনব্যাপী শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ফি’তে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ শতভাগ স্কলারশিপ প্রকাশিত সংবাদে আহমদ কবিরের প্রতিবাদ অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রশিদ আহমদের চিংড়ি প্রজেক্ট জবরদখলের অভিযোগ কক্সবাজার শহরে তারেক বাহিনী সক্রিয়, সশস্ত্র মহড়া ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি স্বেচ্ছাসেবক দল ফতেখারকুল শাখার ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

৪০ জনের প্রতিবেদনে নির্ভর ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর

বার্তা কক্ষ / ২১৭ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার টাইমস২৪:
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং দ্বীপটি বসবাসের জন্য আদৌ উপযোগী কিনা তার সরেজমিন প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে ১ লাখ রোহিঙ্গার ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়া।

সেই সম্ভাব্যতা দেখতে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে দুটি বাসে করে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৪০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে যাত্রা করে। সেখানে মসজিদের ইমাম, ক্যাম্প মাঝি, সহকারি মাঝি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি রয়েছে। প্রতিনিধি দলে দুইজন নারী সদস্যও রয়েছেন।

মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে ভাসানচরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে উন্নত পরিবেশে রয়েছে। সফরকারী রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি ওই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে সেখানে তারা কেমন আছেন তাও জানতে পারবে। ভাসানচর থেকে ফিরে কক্সবাজারের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেবে রোহিঙ্গা নেতারা।

রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে শনিবার বিকেলে ভাসানচরে পৌঁছেন। রবিবার সকালে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। টিমে কক্সবাজারে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, সঙ্গে আরো দুইজন ক্যাম্প ইনচার্জও আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার জানান, রোহিঙ্গাদের ৪০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের আলোকে ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়া নির্ভর করছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের কক্সবাজারে ফেরার কথা রয়েছে।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কথা বলে জানা গেল, ক্যাম্পে বসবাসকারীদের অধিকাংশ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে রাজি নয়। তাদের দাবি, সেখানে থাকার পরিবেশ নাই। যারা আছে তারা বিভিন্ন অভিযোগ করেছে।

সুত্র মতে, কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ভাসানচর দ্বীপে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ইতোমধ্যে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ভবন ও জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।