সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার টাইমস২৪:
টেকনাফের চিহ্নিত ডাকাত গিয়াস উদ্দিনের অস্ত্র হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার ছবি গণমাধ্যমে সরবরাহ করার অপরাধে প্রবাসী মোঃ তৈয়ব (৩৮)কে খুন করা হয়। ঘটনাটির পর থেকে এলাকাবাসী বলাবলি করতে থাকে, মোঃ তৈয়বকে কেন হত্যা করা হলো? এর কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টার দিকে হ্নীলা রঙ্গিখালী ৭ নং ওয়ার্ডের স্কুলপাড়ায় খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় মোঃ তৈয়ব ও তার ভাই জাকের দোকানে বসে গল্প করছিল।
সিনহা হত্যার ঘটনায় টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের প্রধান সোর্স ছিলেন ডাকাত গিয়াস উদ্দিন। তার নামে তিন ডজনের বেশী মামলা রয়েছে। প্রদীপের প্রভাবে এলাকায় বীরদর্পে চলতো সে। মামলা বাণিজ্য, কন্টাক্ট কিলিং ছিল তার মূল পেশা। তার হাতে প্রকাশ্যে গুলিতে মারা যান মোঃ তৈয়ব। রঙ্গীখালী স্কুল পাড়ার দুদু মিয়ার ছেলে মোঃ তৈয়বকে এলাকাবাসী ভালো ব্যক্তি হিসেবে চেনে।
এদিকে, ডাকাত গিয়াস উদ্দিনের অন্যতম সহযোগি মোঃ হোছনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রঙ্গীখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বায়তুল নুর জামে মসজিদের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ানশুটারগান, ১টি তাজা কার্তুজ, ২ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক আজিম আহমেদ। তিনি জানান, কতিপয় অবৈধ অ¯ত্র ব্যবসায়ী অবৈধ অ¯ত্র বিক্রয়ের উদ্দেশ্য অবস্থান করছিল মোঃ হোছন। সে হ্নীলা মাদ্রাসাপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে।
গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আছে, গিয়াস উদ্দিন বিপুল অস্ত্রের মালিক। রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ধারাবাহিক প্রতিবেদনে সাতকাহন ওঠে আসে। যেখানে গিয়াস উদ্দিনের অস্ত্র হাতে ঘোরাফেরার একটি ছবি প্রকাশ হয়। ছবিটি মোঃ তৈয়ব সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ ছিল গিয়াসের। এরপর থেকে আত্মগোপনে থাকলেও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ডাকাত গিয়াস। সেই ক্ষোভ থেকে মোঃ তৈয়বকে খুন করে।
প্রদীপের শেল্টারে ডাকাত গিয়াস উদ্দিন বিপুল নগদ টাকা ও সম্পদের মালিক বনেছেন। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসির।