বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ উল্লাহ মাহদীঃ
بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ
﴿قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا﴾
(১১০) হে মুহাম্মাদ! বলো, নিশ্চয় আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি অহী করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ তোমাদের ইলাহ, কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়৷ (সূরা কাহাফঃ১১০)
পৃথিবীর মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ ও সুন্দরতম হিসাবে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের মধ্যে থেকে তিনি নবী ও রাসুল সৃষ্টি করেছেন,
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍۚ
(সূরা আলাকঃ২.) জমাট বাঁধা রক্তের দলা থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِىۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِيۡمٍ
(সূরা তীনঃ ০৪)আমি মানুষকে পয়দা করেছি সর্বোত্তম কাঠামোয়।৩
يٰۤاَيُّهَا الۡاِنۡسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الۡكَرِيۡمِۙ﴾
(সূরা ইনফিতারঃ০৬.) হে মানুষ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে,
الَّذِىۡ خَلَقَكَ فَسَوّٰٮكَ فَعَدَلَكَۙ
(ইনফিতারঃ৭.) যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাকে সুঠাম ও সুসামঞ্জস্য করে গড়েছেন
فِىۡۤ اَىِّ صُوۡرَةٍ مَّا شَآءَ رَكَّبَكَ
(ইনফিতার০৮.) এবং যে আকৃতিতে চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন।৪
আশরাফুল মাখলুখাত হচ্ছে মানুষ।
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মানুষ হিসাবে আল্লাহ বলেছেন। তিনি সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব যার তুলনা হয়না, যিনি রাহমতল্লিল আলামিন, যিনি সূসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসাবে এসেছেন মানবতার মুক্তির জন্য। আর আমরা যদি বলি তিনি মানুষ নয়। তাহলে আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করা হবে তার মানে আপনি কুফরি করছেন, নাউজুবিল্লাহ।
মক্কার কাফেরেরা, মুশরিকেরা, বলত আমাদের মত মানুষ কেমনে রাসুল হয়, আমাদের মত খায়, বাজারে যায়,বিয়ে শাদী ও করেছেন এটা কেমন রাসুল।আল্লাহ যদি রাসুল পাঠাত তাহলে মালায়েকা / ফেরেশতাদের মধ্য থেকে রাসুল পাঠাত। আজকে অনেকে এ ধারণা পুষণ করে কুফরি করে। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন আমাকে লোকেরা জিজ্ঞেস করে যুলকারনাইন ও গুহাবাসীদের কথা। আমার কাছে যদি ওহী না আসত তাহলে কিভাবে আমি অতীতের ঘটনাবলী বর্ণনা করতাম, একমাত্র গায়েব সম্পর্কে আমার আল্লাহর কাছে রয়েছে সর্বাধিক জ্ঞান।
আল্লাহর একত্ববাদকে নিঃসংকোচে মেনে নেওয়া
তার ০১/রবুবিয়্যত ০২/ উলুহিয়্যত ও ০৩/ আসমাউস সিফাতের ব্যাপারে কোন অংশী স্হাপন করা যাবেনা।
﴿قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ﴾
(সূরা ইখলাসঃ০১.) বলো,তিনি আল্লাহ, একক।
اِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَاِيَّاكَ نَسۡتَعِيۡنُ ؕ﴾
(সূরা ফাতেহা০৪.) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই।
আল্লাহর সাথে শিরক/ অংশীদার হচ্ছে মস্ত বড় জুলম। শিরককারীর কােন ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট শিরক সম্পর্কে ও সতর্ক করেছেন, রিয়া প্রদর্শন যা ইবাদতকে বিনষ্ট করে।
আল্লাহ কিয়ামতের দিন বলবেন যাও যাকে দেখানোর জন্য সন্তুষ্টির জন্য আমল করেছ তার কাছে চাও। নাউজুবিল্লাহ।
আর সৎ কাজ করার ক্ষেত্রে যেন আমরা অগ্রগামি হই, প্রতিযোগিতা করি, ঈমান এবং নেক আমল ও রাসুলুল্লাহ সাঃ অনুকরণ আমাদেরকে জান্নাতের পথে নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
হে আল্লাহ আমাদেরকে ছোট ও বড় শিরক থেকে হেফাজত করুন, এবং নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে ঈমান ও নেক আমল করার তাওফিক দিন, আমিন।